বঙ্গবন্ধুকে দেশী এবং বিদেশী চক্রান্তকারীরা হত্যা করে আমাদের কে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে চক্রান্ত করেছিল। যখন জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কে শ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি দিল তখন সমস্ত চক্রান্ত থেমে যায়। রোববার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আওয়ামী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত নির্ভীঘ্ন করতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানী বাসী মেট্রোরেলে চলার স্বাদ পাচ্ছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে একটা রেলওয়ে কারখানা হচ্ছে, যেটি দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। ১০৫ একর জমির এই কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। রাজবাড়ী রেলের শহর ছিল। সেই রেলের শহরের বিলুপ্ত ঘটেছিল। রেলের শহর হিসেবে রাজবাড়ীর কোন দাম ছিল না। বিএনপির আমলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। রাজবাড়ী থেকে আরো একটি স্পেশাল ট্রেন দেয়া হয়েছে। যেটি রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই ট্রেনটি থামানোর দাবি করা হচ্ছে। সেটা ফরিদপুরে থামানো হবে। বিএনপি সরকার বিভিন্ন স্থান থেকে রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল। রেললাইন তুলে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছিল। আজকে আমরা চেষ্টা করছি রাজবাড়ীকে রেলওয়ে ডিভিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। রাজবাড়ীতে রেলওয়ে ডিভিশন হলে মানুষের কর্মস্থান হবে, মানুষের মাঝে প্রাণচঞ্চলতা ফিরে আসবে। রাজবাড়ীতে রেলের অনেক অফিস আদালত আবার আসবে। এখানে প্রায় ৫ হাজার মানুষ চাকরি করতে পারবে। আমাদের রাজবাড়ী স্টেশনের টেন্ডার হয়ে গেছে। আধুনিক মানের দুইতলা রেল স্টেশন হবে। আমরা চাচ্ছি রাজবাড়ীকে আবার রেলের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কত পরিবর্তন হয়েছে সেটি আপনারা বুঝতে পারছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, আজকে যেখানে রেল বন্ধ করে দেবার মত অবস্থা করা হয়েছিল। এখন এই ঈদ যাত্রায় মানুষের রেল প্রতি একটা আস্থা ফিরে এসেছে। রোজার ঈদে এবং কোরবানির ঈদে আমরা দেখেছি যারা বাড়ী ফিরেছে তারা দুর্ভোগ ছাড়া শান্তিতে বাড়ী ফিরেছে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু প্রমুখ।