সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন

টিআইবির উদ্যোগে পরিবেশ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৯৮ Time View

‘‘ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ ও খরা সহনশীলতা” প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) রাজবাড়ী আয়োজিত বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে এবটি র‌্যালি বের হয়ে রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শের ই বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাক সভাপতি প্রফেসর মো. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যড. খান মো. জহুরুল হক, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল, কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মোল্লা, শের ই বাংলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সনাক সদস্য নুরুল হক আলম, সৌমিত্র শীল চন্দন।

বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে টিআইবি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নি¤œলিখিত সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়:

তাপমাত্রা হ্রাস এবং খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধে সরকার প্রদত্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারসমূহের সময়াবদ্ধ ও কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

পরিবেশ সুরক্ষায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৫ অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিতে অন্তর্ভুক্ত এবং তা বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

‘‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন ২০২৪’’Ñএর প্রেক্ষাপট অংশে পরিবেশ সুরক্ষা, খাদ্য উৎপাদনে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার শব্দগুলোর সঙ্গে ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা’’ উল্লেখ করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, ভূমি পুনরুদ্ধার, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ খরা মোকাবেলায় কৃষি ব্যবস্থাপনার জন্য টেকসই ভূমি ব্যবহার কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর, জলাশয়, বনাঞ্চল, পাহাড় ও পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

অবৈধভাবে দখলকৃত বনভূমি ও নদীর জায়গা উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন নিউট্রালিটি বা ভূমির অবক্ষয় শূন্যে নামিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে পরিবেশ ও জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয়কে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

বনভূমি, জলাভূমি ও কৃষি জমির অবক্ষয় রোধে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং শিল্প কারখানা স্থাপন বন্ধ করতে হবে।

পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সেই সম্পদে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু তহবিলের কার্যক্রমে খরা মোকাবেলা ও পানি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

বন, নদী ও জলাভূমির দখল এবং এর শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ করতে হবে; ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন রোধে পরিবেশ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন বন্ধ করতে হবে; ভূমি ও পানি দূষণ রোধে কৃষি ও মৎস্যচাষে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পলিথিনসহ শিল্পবর্জ্য নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রয়োজনীয় জলবায়ু তহবিল প্রদানে উন্নত দেশগুলোকে বাধ্য করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে অধিপরামর্শ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

তাপমাত্রা হ্রাস, খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধে সরকারকে জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আদিবাসী, উপকূলীয় এবং খরা উপদ্রুত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী ও ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে গুরুত্ব প্রদান করে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

বাস্তুতন্ত্র, ভূমি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে উৎসাহিত করে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com