১৮ এপ্রিল বিকালে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বাংলা উৎসবের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর, অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক ড. আতিউর রহমান।
৩দিন রাজবাড়ী একাডেমির উদ্যোগে প্রথম থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত চারটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দেয়াল পত্রিকা, অভিধান থেকে শব্দ বের করা, চিত্রাংকন, কুইজ, আবৃত্তি, ছড়া লিখনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া উৎসবে রয়েছে সফলতার গল্প, গুনীজন সংবর্ধনা, আবৃত্তি, নৃত্য, পুথিপাঠ ইত্যাদি।
বাংলা উৎসবের স্মরণিকা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করাসহ অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। স্মরণিকাটির সম্পাদনা করেছেন সৌমিত্র শীল চন্দন। এর আগে স্কুল প্রাঙ্গন থেকে উৎসবে অংশ গ্রহনকারী, অভিভাবক ও সুধীজনদের অংশগ্রহণে শহরে একটি বর্ণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। উদ্বোধনী দিনে শিশু শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সফলতার গল্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী সভায় রাজবাড়ী বাংলা একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, শিল্পপতি নাসিম শফি, রাজবাড়ী বাংলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, প্রমূখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর, অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশকে জানতে ও ভালবাসতে হলে বাংলা ভাষায় কথা বলতেই হবে। আমাদের তরুন প্রজন্ম বাংলা ফ্রন্ট কম্পিউটার ও সোশাল মিডিয়াতে প্রতিস্থাপন করেছে। এতে বাংলা ভাষার চর্চা বেড়ে গেছে। এখন আমরা বাংলা ভাষায় ফেসবুক, হোয়াটসআপসহ অনেক কিছু করি। এখনও বাংলা ভাষার চর্চাকারীর সংখ্যা বেশি। ফলে বাংলার এই সোনার মানুষ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি অর্জনের ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আমাদের যে সংস্কৃতি সম্পদ আছে, তা প্রসারিত করতে হবে। সেই সম্পদ রক্ষার্থে রাজবাড়ী একাডেমি নানা উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে। এরই অংশ হিসাবে রাজবাড়ী একাডেমি বাংলা ও বই উৎসব করে আসছে। এর মাধ্যমেই আমাদের ও বর্তমান প্রজন্মের বাংলা ভাষার প্রতি দরদ বাড়বে। এরকম আয়োজন অন্যান্য জেলায়ও হওয়া উচিত।