বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ আজ সোমবার পাড়ি দিল দীর্ঘ ৫০ বছর, রূপ নিল সুবর্ণ জয়ন্তীতে। তারি ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন পার্থ প্রতিম দাস, জেলা কালচারাল অফিচার, রাজবাড়ী, সহ রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন, চায়না সাহা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান রিপন (উপসচিব) উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, রাজবাড়ী। আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাংবাদিকবৃন্দ সহ অন্যান্য সংগীত প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শুরুর আগে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গড়ে তুলেন। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিভা বেড়িয়ে বাংলাদেশকে শিল্প নৈপন্যে ভরিয়ে তুলছে। রাজবাড়ী জেলা এমন একটি জেলা যেখানে প্রতিটি মানুষের মধ্যে শিল্পভাব পরিলক্ষিত । দুইদিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের শিশুরা ২১ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে জানবে। শিল্পকলার শিক্ষকগণ শিশুদের একুশে ফ্রেব্রুয়ারি সম্পর্কে বলবে। শিশুরা এর তাৎপর্য বুঝতে পারবে।
পার্থ প্রতিম দাস বলেন, যে শিশুর ভিতর সাংস্কৃতিক ভাবনা থাকে সেই শিশু একটি আদর্শ শিশু হিসাবে গড়ে উঠে। একটি আদর্শ শিশু একটি আদর্শ জাতি উপহার দিতে পারে। তাই সবাইকে শিল্পমনা হওয়া উচিত।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে চপল কুমার সান্যাল ও জান্নাতুল ফেরদৌস মিমির পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনা করেন রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলার সঙ্গীত শিল্পিবৃন্দ। আরিফুজ্জামান চয়ন এর পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিচালনা করেন রাজবাড়ী জেলার ক্ষুদে নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। মাহনুর রুবাইসা এর পরিচালনায় একক কবিতা পাপেট বিড়াল আবৃত্তি করেন শিশু আবৃত্তিকার। জান্নাতুল ফেরদৌস মিমি একক সংগীত পরিবেশনা করেন। রেজাউল করিম লালনের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়।