সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য লায়েকুজ্জামান (৬০) এর দাফন রাজবাড়ীতে সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী বড় মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে নতুনবাজার সংলগ্ন পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার অফিসে কর্মরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সহকর্মীরা তাকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরের নগরকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
লায়েকুজ্জামান দৈনিক মানবজমিন, কালের কণ্ঠ, সকালের খবরে কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন। তিনি ১৯৮০ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দায় তার শ্বশুরবাড়ি ছিল।