রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামে বৃদ্ধাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে ঘরের বারন্দায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম আশালতা দাস। তার স্বামীর নাম মৃত সন্তোষ দাস। মঙ্গলবার সকালে আশালতা দাসের মরদেহ ঘরের বারান্দায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় জড়িত বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। তার কাছে স্বর্ণালংকার ও হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। তাদের অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনি সবাই পাংশা শহরে থাকে। গ্রামের বাড়ীতে একলা বাস করতো আশালতা দাস। পুরাতন বাড়ীতে পুকুর, মাঠের জমি ছাড়াও বাগান রয়েছে। আশালতা দাসের দান করা জমির উপর এলাকায় বিদ্যালয়, হাট বাজার হয়েছে। এসব দেখাশোনা করার জন্য লোক ছিল। সকালে বাড়ীর কাজের লোক আশালতা দাসের মরদেহ ঘরের বারান্দায় পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, নিহত আশালতা দাস সোনার গহনা পড়তে ভালোবাসতো। তার গায়ে তিন ভরির মত সোনার গহনা ছিল। ভোরে বা সকালে বাইরে বের হলে মাথায় হাতুরী বা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথায় একটায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে তার গহনাগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।