ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুরের হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) এর বংশধর হযরত আলী আব্দুল কাদের সামসুল কাদের সৈয়দ শাহ মুরশীদ আলী আল কাদরী আল হাসায়নী ওয়াল হুসায়নী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আঃ) মশহুর নাম মওলাপাক এর ১২৩ তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে ২২০০ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে আজ বুধবার রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ২৪ খানা বগির এই বিশেষ ট্রেন।
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরের নৈকট্য লাভ, তাকে এক নজর দেখতে ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতি বছর এই দিনে রাজবাড়ী থেকে সুদূর ভারতের মেদিনীপুরে যান ভক্তরা। বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ে ১৯০২ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ওরশ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যৌথভাবে এই ট্রেনটি পরিচালনা করে আসছে।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া সূত্র জানিয়েছে, আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে পবিত্র ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ওরশ শেষে ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক এই ট্রেনটি দুটি দেশের সেতু বন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি একে অপরের সমান শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী জানান, মেদিনীপুরের এই ওরশে যোগদানের জন্য ভারতীয় সরকারের সুপারিশে ও বাংলাদেশ পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় দূতাবাস বিশেষভাবে মেদিনীপুরের ভক্তদের ভিসা প্রদান করে থাকেন। বছর বছর ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে। ওরশ যাত্রীদের বহনকারী বিশেষ এই ট্রেনটিতে নেতৃত্ব দেবেন আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ মাহবুবুল আলম দুলাল।
রাজবাড়ী জিআরপি থানার ওসি সোমনাথ বসু জানান, বিশেষ ট্রেনটিতে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত জানান, যাত্রীরা যাতে নিরাপদে নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌছাতে পারে এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যে রেলের ইয়ার্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ব থেকে পশ্চিম ইয়ার্ড জুড়ে আলোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ট্রেনের ভেতরে যাতে কোন বিঘœ না ঘটে সেজন্য গার্ড, ইলেকট্রিশিয়ান, এটেনটেন্ড নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভারত থেকে ২৪টি বগি মঙ্গলবার সকালেই রাজবাড়ী এসে পৌছানোর কথা রয়েছে।