রাজবাড়ীতে বিএনপির বিক্ষোভ থেকে নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা আক্তার ডেইজিসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ৪১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহাবুর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রবিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের রাজবাড়ী থানা থেকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র বলছে, সজ্জনকান্দা গ্রামস্থ সরকারী মহিলা কলেজের সামনে আওয়ামীলীগের সমাবেশে অংশগ্রহনের আওয়ামীলীগের কিছু কর্মী বড়পুল হইতে রেলগেটের দিকে যাওয়ার প্রক্কালে বিএনপি সমর্থিত লোকজন হাতে বাঁশের তৈরী লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল নিয়া আওয়ামীলীগের কর্মীদের বাধাদান করলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করে। রাজবাড়ী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। তখন বিএনপি সমর্থিত লোকজন রাস্তা আটকাইয়া জনসাধারনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। রাজবাড়ী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য তাদেরকে সরানোর চেষ্টা করিলে উত্তেজিত হইয়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধাদান করে আসামীদের হাতে থাকা বাঁশের তৈরী লাঠিসোটা দিয়া নাশকতা ও ধ্বংসাত্ত্বক কার্যক্রম করার জন্য পুলিশের উপর আক্রমন করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করিয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজি (৪০), নুরুল ইসলাম, মনিরুল শেখ (২২), আলামিন হোসাইন (২০), মারুফ হোসাইন (১৯), জাকির হোসেন(২২), রাসেল শেখ (৩৪), শহিদ বিশ্বাস (৩২), রবিউল শেখ (২৯), ফরহাদ সরদার (৪৮), মান্নান মোল্লা (৩৯), আনিস মন্ডল (৩০), জিয়া সরদার (৩০), মজিদ মোল্লা (৭০), আমিনুল ইসলাম (জামিনুল) (২৮), মোতাহার মোল্লা (৪০) এবং ইদ্রিস শেখ (৪৬)।