রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে জানালার কাচ ভেঙ্গে এক যাত্রী আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের তালমা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার পর এ ঘটনা ঘটে।
মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ফরিদপুরের তালমা স্টেশন অতিক্রম করার পরে পাথর নিক্ষেপের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি ঘটে জানতে পেরে আমি যাত্রীর কাছে যাই এবং জিআরপি পুলিশ ও টিটিই সহ আমরা সকলে আহত যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই।
পাথর নিক্ষেপে আহত যাত্রী সাগর কুমার (২৬) বলেন, আমি একজন শিক্ষার্থী। আমার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। মধুমতি ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আগামীকাল একটি ব্যাংকে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। আমার সাথে আমার এক বন্ধু আছে। দুজনেই জানালার ডানপাশে বসেছিলাম। ফরিদপুরের তালমা স্টেশন পার হওয়ার পরে হঠাৎ বড় একটি পাথর জানালার কাচ ভেঙে আমার মাথায় লাগে। পরবর্তীতে ট্রেনের পরিচালক ও পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এখন আমি সুস্থ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি পাথর নিক্ষেপকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
জিআরপি পুলিশের এএসআই মো. কামাল বলেন, এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। কে বা কারা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এর আগেও ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা এই এলাকায় মধুমতি এক্সপ্রেস ও ফরিদপুর এক্সপ্রেসে একাধিকবার পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত হয় পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।