রাজবাড়ীতে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দায় অবস্থিত জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলীসহ ৬ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলেন পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খান, পাংশার নারায়ণপুর এলাকার মো. রহুল আমিন, শেখ পাড়ার মো. বাচ্চু বিশ্বাস, রাজবাড়ী পৌর এলাকার মামুন সিকদার, মো. ফরিদ হোসেন ও মো. শিশির করিম।
কাজী রকিবুল হাসান বলেন, কোনো ভোক্তা অভিযোগ করলে নিয়মানুযায়ী শুনানির মধ্য দিয়ে তা নিস্পত্তি করতে হয়। সেই শুনানির তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শুনানিতে দুই পক্ষই কার্যালয়ে হাজির হয়। প্রথমে তারা অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনতে থাকেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক অভিযোগকারীর গায়ে হাত তোলেন। এসময় তিনি তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করলে তারা না থেমে তার মুঠোফোন কেঁড়ে নেয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
তিনি আরও বলেন, এই শুনানিতে তারা দুটি মাইক্রোবাসে করে মানুষ এসেছিল। ৬ থেকে ৭ জন আমার কক্ষের মধ্যে ছিল। বাকীরা কার্যালয়ের নিচের তলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করছিল। উপরে হট্টগোলের শব্দ পেয়ে নিচ থেকে বাকী লোকজনও উপরে আসতে থাকে। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাকে উদ্ধার করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আমার উপর হামলাকারীদেরকে একটি কক্ষের মধ্যে আটকে রাখে। আমি জেলা প্রশাসককে ফোন কলের মাধ্যমে জনাই। পরে যৌথবাহিনী এসে হামলাকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই আটক ৬জনসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব জানান, বৃহস্পতিবার জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে একটি অভিযোগের শুনানি ছিল। সেসময়ে ভোক্তার কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এবিষয়ে ভোক্তার কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আটক ব্যক্তিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।