সৈয়দ সালেহীন অসাধারণ একজন রাজনীতিবীদ। একজন রাজনীতিবিদ কতোটা বিনয়ী হতে পারেন তিনি তা দেখিয়েছিলেন। সৈয়দ রফিকুস সালেহী এই বাংলাদেশের গ্রামীন জনপদের অসাধারণ একজন রাজনীতিবিদ। সততা, আদর্শ, বিনয় সব দিক থেকেই অসাধারণ। ক্ষমতায় গেলে অন্য প্রায় সবার সম্পদ যখন হু হু করে বাড়ছে, তখন আপনারটাই শুধু কমেছে। যেটুকু ছিল সেটাও কমেছে। বাড়ীর সামনে বাশঁ দেয়া বেড়া টুকু বার বার নড়বড়ে হয়ে গেছে।কিন্তু আপনি আর্দশ থেকে এক বিন্দু নড়েন নি।আপনার মুখ যেন সততার আর্দশে গড়া এক মুর্তি।কিছু সময় তার সাহচর্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছে।সেই সুযোগে তার রাজনীতি আসা। ওকালতি পড়াের আগ্রহ শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। বনেদী পরিবারের এই সন্তানকে দেখেছি মিথ্যা কোন মামলা গ্রহণ করেননি। অনেক সময় মক্কেলের বাড়ী যাওয়ার ভাড়া ও দিয়ে দিতেন।বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পর ও কোন সুযোগ গ্রহণ করেন নি।আমার জানা মতে এসপি ওসির কাছে কখনো কোনদিন তদ্বির তদারকি করেন নি তিনি। ক্ষমতার বলয়ে থেকেও অতি সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে জীবন যাপন করেছেন।
প্রিয় কাকু , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রতি দেশের পিতার প্রতি ছিলো আপনার অপরিসীম দায় বদ্ধতা। সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের রাজবাড়ী জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন সভাপতি ছিলেন অনেকদিন।জেলা বারের সভাপতি ছিলেন অনেক দিন।দলের দুর্দিনে ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক কিন্তু এতো কিছুর পরেও আপনার বিনয় ছিল অসাধারণ। এতো সব পদে থাকার পরেও নিজের চিকিৎসার জন্য ঔষুদ কেনার জন্য আপনার পরিবার কে ভাবতে হতো। এটা ত্যাগী নেতা বলেই এটা সম্ভব। কারণ রাজনৈতিক সততার উজ্জ্বল ও বিরল এক দৃষ্টান্ত আপনি।
ছাত্র থাকা সময়েই যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে । আজীবন মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা লালন করেছেন। সততা ও আদর্শের সাথে কোনরকম আপোষ করেননি। প্রতিক্রিয়াশীলতাকে কোন স্থান দেননি। অসাধারণ এক রাজনৈতিক আদর্শের পুরোপুরি চর্চা করে গেছেন। কিন্তু কোনদিন কাউকে অসম্মান করে কথা বলেননি। এমনকি বিরোধী দলকেও না।হয়ে উঠেছিলেন অবিসংবাদী মানুষ। তার মৃত্য সুষ্ঠ রাজনীতি ধারার অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তার এক সন্তান পাপুন বাবার সম্পর্কে মুল্যায়ন করেন এভাবে
নানা মন্তব্য-
..লোকটা বোকা, লোকটা কাজের না.....
কেউ বলে- সবারই মূল্যায়ন হলো এই লোকটি ছাড়া.
মতামত/মন্তব্যগুলো শুনি।
কখনো বুঝি, কেন এমন বলে। আবার কখনো মনে হয়- আসলে বুঝি না।
মনে হয় মানুষগুলো ঠিক বলছে না, কখনো মনে হয় ঠিকইতো বলছে!
ঠিকটা কেউ বুঝিয়ে বলতে পারেন?
আসলে ঠিক/বেঠিক বা বুঝিয়ে বলার বিশেষ কিছু নেই। কোনো ব্যক্তির মূল্যায়ন তার আমলনামায়, আর শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি মানুষের ভালোবাসা।
নেহাল আহমেদ: কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মি।
প্রকাশক : ফকীর আব্দুল জব্বার, সম্পাদক : ফকীর জাহিদুল ইসলাম, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২২ নং ইয়াছিন স্কুল মার্কেট (২য় তলা), হাসপাতাল সড়ক, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী মোবাইল: 01866962662
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari