রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে বাদল বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ীর আড়তে আল্লাহ্ সদৃশ লেখা একটি পাঙ্গাশ মাছ পাওয়া গেছে। অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই মাছটি পাইকারি দরে বিক্রি করেছিলেন তিনি । খুচরা ক্রেতা মাছটি পাওয়ার পর স্পষ্ট আরবী অক্ষরে বড় আকারে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পান। জানতে পেরে আড়তদার দ্রুত আড়তে মাছটি ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ জানান। বর্তমানে মাছটি আড়তদারের ঘরেই রাখা রয়েছে।

গোয়ালন্দ বাজারের মাছের বড় পাইকারী আড়তদার বাদল বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করেন। মাছগুলো ময়মনসিংহ থেকে ট্রাকে করে পাইকারী দরে ক্রয় করে গোয়ালন্দ বাজার আনেন। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার খুচরা মাছ বিক্রেতা চান মিয়া তাঁর ঘর থেকে পাঙ্গাশ মাছ কিনেন। দৌলতদিয়া বাজারে বিক্রির জন্য ডালায় তোলার কিছুক্ষণ পর একটি পাঙ্গাশের গায়ে মাথার দিকে বড় আরবী অক্ষরে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পাইকারী আড়তদার বাদল বিশ্বাসকে অবগত করলে তিনি দ্রুত মাছটি আড়তে ফেরত নিয়ে আষতে বলেন। ওই সময় মাছটি তাজা থাকায় আড়তদার তাৎক্ষনিক পদ্মা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার মনস্থির করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মাছটি মরে যাওয়ায় আর ছাড়তে পারনেনি। বর্তমানে বাদল বিশ্বাস তাঁর আড়ত ঘরের রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়েছেন।

বাদল বিশ্বাস আরও বলেন, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ট্রাকে করে ময়মনসিংহ থেকে পাঙ্গাশ মাছ তার আড়ত ঘরে নামে। এই মাছগুলো বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে বিক্রি শুরু করেন। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা চান মিয়া ১৭০ টাকা কেজি দরে ৪০ কেজি পাঙ্গাশ মাছ কিনেন। মাছগুলো সকাল সাতটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে বিক্রির সময় আল্লাহু লেখা দেখতে পেয়ে তাঁকে ফোনে জানান। পরে মাছটি তাঁর ঘরে ফিরিয়ে আনতে বললে সকাল ৮টার দিকে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে মাছটি তাঁর ঘরে রেখে দিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছটি দেখতে গভীর রাত পর্যন্ত উৎসুক জনতা ভিড় করছেন আড়তদার বাদল বিশ্বাসের আড়তে। এসময় মাছটি দেখতে আসা পল্ট্রি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা ও লুৎফর রহমান বলেন, এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া এমন কাজ আর কারো দ্বারা সম্ভব নয়। তারা আরও বলেন, মাছটির মাথার দিকে স্পষ্ট আকারে আল্লাহ্ লেখা রয়েছে।