রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা উল্লেখ না করে ইচ্ছামত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পাংশা পৌরসভার এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি নীতিমালার পরিপত্র অনুসরণ করে খাতওয়ারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোন নীতিমালা বা রেজুলেশন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করেছেন এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন। বিদ্যালয় প্রদত্ত রশিদ দেখে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। রশিদটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারিখ ব্যতীত পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর অব্দি ৬ মাসের বেতন বাবদ ৬৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেশন ফি বাবদ ১২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। তবে উল্লেখ নেই কোন খাতে কত টাকা নেয়া হয়েছ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত টাকা দিলেও কোন খাতে কত টাকা দিচ্ছি তা জানিনা।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে টাকা দিই কিন্তু কখনো জানতে পারিনা এই টাকা স্কুলের কোন খাতে ব্যয় করা হয়।
বৃহস্পতিবার এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠে গেলে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেশন ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো নীতিমালা বা পরিপত্র অনুসরণ করা হয় কি না। প্রধান শিক্ষক জানান, তারা নীতিমালা অনুসরণ করেই টাকা আদায় করে থাকেন। কিন্তু নীতিমালা দেখাতে বললে তিনি জানান, তা তিনি দেখাতে পারবেন না। জানতে চাওয়া হয়, কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হয়? জবাবে তিনি বলেন, "আমার নির্দিষ্ট করে কোনো তালিকা নেই যে কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হবে। আমরা নির্দিষ্ট করে টাকা নেই না। বিভিন্ন খাতের টাকা একসাথে করা থাকে। এক খাতের টাকা অন্য খাতেও অনেক সময় কম বেশি খরচ হয়। তাই যেই খাতে যখন যত টাকা লাগে, তখন আমরা একবারেই পুরো টাকা নিয়ে তা জেনারেল ফান্ডে জমা রাখি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা বলেন, উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি মিটিং করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা উল্লেখপূর্বক রশিদ প্রদানের জন্য। যাতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারে তাদের কাছ থেকে কোন কোন খাতের কত টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন লুকোচুরি করা যাবে না।"
প্রকাশক : ফকীর আব্দুল জব্বার, সম্পাদক : ফকীর জাহিদুল ইসলাম, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২২ নং ইয়াছিন স্কুল মার্কেট (২য় তলা), হাসপাতাল সড়ক, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী মোবাইল: 01866962662
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari