বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলোচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাংশা সরকারি জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ।

শনিবার বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। এ খেলায় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি মুখোমুখি হয় পাংশা উপজেলা ফুটবল একাদশের। খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি জয়সূচক গোলটি করে।

পাংশা সরকারি জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ কানাই কানাই পূর্ণ। ২০ টাকার টিকিট কেটে দলবেঁধে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শকেরা খেলা দেখতে মাঠে ছুটে এসেছেন। খেলা দেখতে আসা দর্শক সাগর মন্ডল বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে আসছিলাম। পাংশা হেরে গেছে তাতে কোন দুঃখ নাই।

অপর দর্শক আবদুল্লাহ বলেন, প্রায় ২০ বছর পর পাংশা উপজেলা জর্জ স্কুল মাঠে এতো বড় একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রচুর ফুটবল প্রেমী দর্শক মাঠে খেলা দেখতে এসেছে। আমিও খেলা দেখে আনন্দিত।

পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগ নেতা ও আয়োজক কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম মারুফ জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজকের এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল টিম এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছে। এ আয়োজন পাংশার ফুটবল ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, পাংশায় এসে আমি অভিভূত। ফুটবল মানুষের প্রথম প্রেম। আজ আমি পাংশাতে ফুটবল খেলতে আসছি। পাংশায় এর আগে এতো মানুষ হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। ফুটবলের প্রতি দেশ প্রেম থেকেই মানুষ খেলা দেখতে আসে। মাদক থেকে দেশকে মুক্ত করার এর থেকে ভালো উপায় আর নেই।
প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আগামীতে নির্বাচিত হতে পারলে পাংশায় একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

প্রীতি ফুটবল ম্যাচে পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ।