হেরোর পর হার্ডবেড করে ৬-৭ মাস ফেলে রাখার কারণে রাজবাড়ী জেলার পাংশা হেড কোয়ার্টার-মৃগী জিসি সড়কে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। হেরোর পর হার্ডবেড করে ৬-৭ মাস উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। ইটের লাল ধুলাবালি বাতাসে উড়ে একাকার হয়ে বসতবাড়ির কাপড়চোপড় ও জিনিসপত্রে মিশে যাচ্ছে এবং বায়ু দূষণ হচ্ছে। সারাপথে ইটের সুরকি ছড়িয়ে পড়েছে। মোটরসাইকেল, অটোবাইক ও ভ্যানসহ হালকা যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ বাড়ছে। রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগের পাশাপাশি আশে পাশে বসবাসকারী মানুষের জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। ধুলাবালির কারণে রাস্তারধারে বাড়িতে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলাবালি উড়ে বায়ু দূষণ হচ্ছে। জানা যায়, ১১ কোটি ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭১ টাকা ব্যয়ে পাংশা হেড কোয়ার্টার-মৃগী জিসি সড়কের চেইঃ ০০-১০৯০০.০০ মিটার উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার নাটোরের উত্তর বড়গাছা এলাকার মীর হাবিবুল আলম। ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশপত্র পাওয়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সড়কে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। চলতি ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৪০% কাজ হয়েছে। কার্পেটিং, প্যালাসাইডিং, মাটির কাজ ও ঘাস লাগানোর কাজ বাকি রয়েছে। সরেজমিনে এসব তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (৩ এপ্রিল) প্রকল্পের তদারকী কর্মকর্তা পাংশার এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিম এ প্রতিনিধিকে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারংবার তাগাদা দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ৬-৭ মাস হল সড়কে হার্ডবেড করে কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদারের লোকজন। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় নিয়ে বারবার মৌখিক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩০/০৪/২০২২ ইং তারিখের মধ্যে ঠিকাচুক্তি মোতাবেক কাজ সমাপ্ত করার জন্য বলা হলেও কর্ণপাত করছেন না এবং কোন কারণ ছাড়াই কাজটি বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিম আরও বলেন, সর্বশেষ গত ২১/০৩/২০২২ ইং তারিখে পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন ঠিকাদারকে রুরাল কানেক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি) প্রকল্পের আওতায় যশাই ইউপি-জয়গ্রাম মাছপাড়া সড়ক চেইঃ ০০৪২৭৯ মিটার রাস্তা উন্নয়ন এবং পাংশা হেড কোয়ার্টার-মৃগী জিসি সড়ক চেইঃ ০০-১০৯০০.০০ মিটার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদারকে পত্র দিয়েছেন। পত্রে ঠিকাদারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে- ২৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে কার্যাদেশপত্র প্রদান করা হয়। কার্যাদেশ মোতাবেক কাজটি ৩০/০৪/২০২২ ইং তারিখে সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও কোন কারণ ছাড়াই কাজটি বন্ধ রেখেছেন। বারংবার মৌখিক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করছেন না। কাজটি যথা সময়ে আরম্ভ করে বাস্তবায়ন করতে কোন সমস্যা আছে কি না দপ্তরকে অবহিত করেন নাই। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সঠিকভাবে সম্পাদনে অনাগ্রহতা এবং উদাসীনতা প্রকাশ পায়, যাহা ঠিকাচুক্তির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ ব্যাপারে রবিবার বিকেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আমিনুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ৬ তারিখে তাদের নতুন মেশিন আসবে, মেশিন আসলে কাজ শুরু করা হবে।
প্রকাশক : ফকীর আব্দুল জব্বার, সম্পাদক : ফকীর জাহিদুল ইসলাম, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২২ নং ইয়াছিন স্কুল মার্কেট (২য় তলা), হাসপাতাল সড়ক, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী মোবাইল: 01866962662
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari