ঐতিহ্যের ৪১বছরে পা রাখলো রাজবাড়ীর কালুখালীর ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলীর ফাইভ স্টার। বৃহস্পতিবার মিলাদ মাহফিল, দোয়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাট ক্রয় শুভক্ষণ।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী আবুল কাসেম মন্ডল, মোনায়েম খান, মজিবর রহমান খান, হাফেজ আব্দুল মালেক, ক্বারী আবুল কাসেম, রতনদিয়া বাজার বনিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী তরুন সাহা, সাইফুল আলম, শাহিন প্রামানিক, রাজন মন্ডল, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকা ব্রিটিশ আমল থেকে পাটের জন্য প্রসিদ্ধ। তৎকালীর সময়ে এখানকার পাট পানসী নৌকায় কওে কলিকাতায় নেওয়া হতো। পাকিস্থান আমলেও কালুখালী পাট ব্যবসায়ীরা নৌ পথ ব্যবহার করতো। ফারাক্কা বাঁধ চালু হলে চন্দনা নদীর নব্যতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একসময় নৌরুট বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে ঝিমিয়ে পওে কালুখালীর পাট ব্যবসা।
দেশ স্বাধীন হবার ১০ বছর পর কালুখালীর তরুণ ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস খেয়াল করেন পর্যাপ্ত পাট থাকলেও এখানে পাট ক্রয়কেন্দ্র নেই। কতিপয় ফড়িয়ার কাছে পাট ব্যবসা জিম্মি। সরকারী বাজার দর তোয়াক্কা না কওে নামমাত্র মূল্যে পাট কেনা হয়। অনেক সময় বাঁকীতে পাট কেনা হয়। ঠিকমত দামও পরিশোধ হয়না। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব বিবেচনা কওে তিনি ১৯৮১ সালে কালুখালীতে পাট ক্রয় শুরু করেন। শুভক্ষনে ৫শতাধিক কৃষক, ফরিয়া ও মিল মালিকের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই ধারাবাহিকতা অদ্যবধি চলমান ।
দ্দভক্ষন অনুষ্ঠানে হাজীওয়াজেদ আলী বিশ্বাস জানান, তার ৪১ বছওে তিনি কোন কৃষক বা ফরিয়ার কাছে পাট কেনা বেঁচা সংক্রান্ত কোন দেনা নেই। তার কাছে পাট বিক্রি করে কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তিনি কালুখালী ছাড়াও গোয়ালন্দ বাজার, খলিলপুর বাজার, খানখানাপুর বাজার, কোলারহাট, বেলগাছী বাজার, সোনাপুর বাজার,বহরপুর বাজার, মৃগী বাজার, রামদিয়া বাজার থেকে পাট ক্রয় করেন। এ কাজে ২ শতাধিক ফরিয়া (পাট ক্রয়ে সাহায্যকারী) তাকে সাহায্য করে।
দীর্ঘ সময়ের ব্যবসায় সততাই হাজী ওয়াজেদ আলীর পুঁজি। এজন্য জনতা জুট মিলস, করিম জুট মিলস গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস, কুষ্টিয়ার শ্যামসুন্দপুর জুট মিলস, কাজীবাধার গোল্ডেন জুটি মলস, দৌলতপুর জুট মিলস, রংপুর জুট মিলস, নারায়নগঞ্জ জুট মিলসসহ দেশের বিভিন্ন পাটকল ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসের পাট কিনে থাকে।