শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

শিক্ষকরা মানুষ এবং সমাজ গড়ার কারিগর- ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নানা আয়োজনে পালিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৮৭ Time View

‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর, শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান। এসময় আরও বক্তব্য দেন রাজবাড়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তারিফ-উল-হাসান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মো. ফেরদৌস, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মাসুদুজ্জামান, ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এরশাদ মো. সিরাজুম্মুনির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি আঞ্জুমান আরা বেগম, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন, আল্লা নেওয়াজ খায়রু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক গাজী আহসান হাবিব, রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক চায়না রানী সাহা প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, শিক্ষকরা মানুষ এবং সমাজ গড়ার কারিগর। অভিভাবকেরা যখন তাদের সন্তানকে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়ে যান, তখন তাদের শিশুরা থাকে কাদা মাটির মতো। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা তখন সেই শিশুকে যে আকৃতি দিবে অর্থাৎ যেভাবে শেখাবে, গড়ে তুলবে, সেই সন্তান সেভাবেই শিখে বড় হবে এবং সমাজে তার ভূমিকা রাখবে। শিক্ষকতার চেয়ে বড় আর কোনো পেশা হতে পারে না।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তারিফ-উল-হাসান বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। একটি জাতীকে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সুশিক্ষিত ও সুশীল করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে এ বিষয়ে আরও জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে। কেবল একজন দায়িত্বশীল এবং সুশীল শিক্ষকই পারেন দেশকে একজন দায়িত্বশীল, সুশিক্ষিত ও সুশীল নাগরিক উপহার দিতে। এসময় বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে দেশে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর পরিবর্তে দেশে থেকে দেশের জন্য কাজ করে উন্নত জাতি গঠনে অবদান রাখার আহবান জানান তিনি।

বক্তারা বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হলেও দেশের সবচাইতে বৈষম্যের শিকার এই শিক্ষকরা। একজন শিক্ষক বেতন পায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। আরেক শিক্ষক বেতন পায় ১৪ হাজার টাকা। শিক্ষকদের মধ্যে বেতম কাঠামোর এই বৈষম্য দূর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণীর বেতন পান। মেধাবীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আসতে চায়না। যারাও আসে তারা অন্য পেশায় চলে যায়।

এর আগে সকাল ১০ টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালীর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক পথে শহরের পান্না চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com