সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ র নামে শুরু করছি
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে
সাংবিধানিক বিধিমতে ৫ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে আমার নিবেদন
সুপ্রিয় রাজবাড়ী জেলাবাসী,
সালাম ও শুভেচ্ছা নিন।
আজ থেকে ৫ বৎসর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত হয়ে আমি স্থানীয় সরকারের জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করে, আপনাদের আকুন্ঠ সমর্থনে আমি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। রাজবাড়ী জেলার প্রথম নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে আমি সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কঠোর বাস্তবায়ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি। এজন্য আমাকে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিন্তু আমি এতটুকু পিছপা হইনি। আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হবার অনেক আগে থেকেই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধের সোচ্চার ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব। আপনাদের সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য।
মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ থেকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার এক সৈনিক হিসাবে আমি জেলার সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের গভীর ভালোবাসা ও সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় আজ জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবার কারণে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ অসম্পন্ন রেখে আপনাদের কাছ থেকে আমাকে বিদায় নিতে হচ্ছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালের যা কিছু ভালো ও শুভ কাজ ছিল তার সবটুকু রইলো আপনাদের জন্য আর আমার ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেছি রাজবাড়ী জেলায় ৩টি পৌরসভা, ৫টি উপজেলা, ৪২টি ইউনিয়ন। আমি মসজিদ হতে মন্দির, শ্মশান হতে গোরস্থান সকল স্কুল কলেজে এ জেলার প্রতিটি জায়গায় এ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বার্তা আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছি এবং প্রতিটি জায়গায় জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের আমি সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে গেছি।
আগামী দিনগুলিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজবাড়ীর সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। ব্যক্তি জীবনে আমি বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও উন্নয়নকর্মী। জননেত্রী ও রাজবাড়ীবাসী চাইলে আগামীতেও আমি জেলা পরিষদের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পিছপা হবো না। আমার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমার জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও পরিষদের সম্মানীত সদস্যবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। সকলের প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমার জন্য দোয়া চেয়ে শেষ করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
সবিনয় নিবেদক
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার।