পবিত্র ঈদুল-আযহা উপলক্ষে গবাদী পশুবাহীর যানবাহনের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। তবে দুর্ভোগ মুক্ত হয়ে ফেরি পারাপার হচ্ছে যানবাহনগুলো। কোরবানীর পশুবাহী ট্রাকের অতিরিক্ত চাপ থাকায় রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এতে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত ৪কিঃমিঃ যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এবং ফেরি ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৬ জুন থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। সেই থেকে দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের প্রধান নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফাঁকা হয়ে যায়। কমে যায় ৪০শতাংশ যানবাহন। এক নিমিষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া গুরুত্বপূর্ন এই নৌরুট গুরুত্বহীন হয়ে পরে। যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় চলে যায়।
তবে রবিবার বিকেল থেকে হঠাৎ ঈদুল-আযহা উপলক্ষে গবাদী পশুবাহীর ট্রাক সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। যানবাহনের অতিরিক্ত এই চাপ ঈদ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
তবে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের উপসহকারী পরিচালক শাহ্ খালেদ নেওয়াজ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত চাপ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে। সুতরাং দৌলতদিয়া-পাুটরিয়া নৌরুট ব্যবহার করা যাত্রীবাহী পরিবহন ও গবাদী পশু বাহী ট্রাক চালকদের নদী পারাপার করার কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তিনি আরো বলেন, এই নৌরুটে বর্তমান ছোট বড় ২২টি ফেরি চলাচল করছে।
কুমারখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস রোজিনা পরিবহনের এক চালক বলেন, ১/২ ঘণ্টা ফেরি ঘাটে অপেক্ষা তেমন সমস্যা নয়। কিন্ত অকারণে ৭/৮ ঘণ্টা ফেরি ঘাটে অবস্থান করতে হয়েছে। সেই তুলনায় ফেরি ঘাটে এতটুকু সিরিয়াল থাকতে পারে। পদ্মা সেতুর কারণে এই সুফল ভোগ করছে দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের সর্বসাধারণ।
এসময় গরুবাহী এক ট্রাক চালক বলেন, টানা ২০ বছরেও এত সহজে নদী পারাপার হওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্ত পদ্মা সেতু শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তিতে গৌন্তব্যস্থানে যেতে পারছি। হয়ত আগামি দিনে যোগাযোগের ব্যবস্থা এর চেয়ে ভাল হবে। তখন ব্যবসা সহ সর্বসাধারনের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপু বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ২১ জেলার মানুষ উপভোগ করছে। কারণ এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিন-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার সর্বসাধারণের উন্নয়ন হবে।
প্রকাশক : ফকীর আব্দুল জব্বার, সম্পাদক : ফকীর জাহিদুল ইসলাম, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২২ নং ইয়াছিন স্কুল মার্কেট (২য় তলা), হাসপাতাল সড়ক, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী মোবাইল: 01866962662
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari