রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৫ ও ৬ নম্বর ফেরী ঘাটে ভাঙন রোধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরী ঘাট এলাকায় দেখা যায়, সেখানে ভাঙ্গনরোধে নতুন বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এখানে ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে বিগত দিনে ভাঙনে বন্ধ হয়ে গেছে ৪টি ঘাট। বর্তমানে দৌলতদিয়ার মাত্র তিনটি সচল ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে লঞ্চঘাটও।
ঘাট এলাকার কয়েকজন জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন চলছে। ঘাটগুলো কয়েকদফা ভাঙনের শিকার হয়েছে। এবারো চলছে ভাঙ্গন। ভাঙনে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল, বাজারসহ নদীপাড়ের কয়েকটি গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে ঘাট আধুনিকায়ন ও নদী শাসনের আশার বানী শোনায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ দায়িত্বশীলরা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। ভাঙনে ঘাটের উজানে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড পুরোপুরি বিলীন হয়ে সর্বহারা হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়ায় ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটটি সচল আছে। ফেরিঘাটে ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে বিআইডব্লিউটিএ'র দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে বালুভর্তি ১০ হাজার জিওব্যাগ ফেলার কাজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঘাটের বিভিন্ন ভাঙন কবলিত ও ঝুকিপূর্ণ স্থানে ১০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে।
প্রকাশক : ফকীর আব্দুল জব্বার, সম্পাদক : ফকীর জাহিদুল ইসলাম, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২২ নং ইয়াছিন স্কুল মার্কেট (২য় তলা), হাসপাতাল সড়ক, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী মোবাইল: 01866962662
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari