গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ বিষয়ে চ্যানেল এস টেলিভিশন ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুল ইসলাম শেখ এবং আমার দেশ পত্রিকার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম হালিম কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বছর ডিএপি সারের সরকার ঘোষিত নির্ধারিত মূল্য ২১ টাকা। কিন্তু এই সার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৯ টাকা কেজি দরে। তিনি কৃষকদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান এবং খুচরা ডিলার ও বিসিআইসি ডিলারদের বক্তব্য নেন। গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চান। কিন্তু তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।
সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম হালিম জানান, সংবাদ সংক্রান্ত কাজে মঙ্গলবার দুপুরে আমিও তার কার্যালয়ে যাই। এ সময় আমি তাকে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি এবং ভাই বলে সম্বোধন করি। এতে তিনি আমার উপর ক্ষেপে যান। বলেন, আপনারা ইউএনও-এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে গিয়ে যে আচরণ করেন, আমার কার্যালয়ে এসে তেমন আচরণ করেন না। তারা যেমন বিসিএস ক্যাডার, আমিও তেমন বিসিএস ক্যাডার। পরে এ নিয়ে তার সাথে আমার অনেক কথা কাটাকাটির পর কক্ষ হতে বের হয়ে আসি।
চ্যানেল ২৪ এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি সুমন বিশ্বাস জানান, আমি ১ মাস আগে তথ্য অধিকার আইনে কিছু তথ্যের জন্য তার সরকারি ও ব্যাক্তিগত মেইলে আবেদন করি। কিন্তু তিনি আমাকে তথ্য না দিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তথ্য দিয়ে কি করব সে বিষয়ে কৈফিয়ত চান। একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার জানান, মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওইদিন আমার শরীর ও মন ভালো ছিল না। কাজেরও প্রচুর চাপ ছিল। তাই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এ ধরনের ঘটনা আগামীতে আর ঘটবে না। সাংবাদিকদের সাথে মিলেমিশে এলাকার কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করব।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কৃষি কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানতে পেরে বুধবার সকালে তাকে আমার কার্যালয়ে ডেকেছিলাম। তিনি ঘটনার জন্য আমার কাছে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েছেন। আমি তাকে সতর্ক করে দিয়েছি।