রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুরে কাদামাটির রাস্তায় চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
খানখানাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। স্থানীয়রা বারবার রাস্তাটির কাজ করার জন্য দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেননি কেউ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাগুলোর কাজের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ রাস্তাটি ছাড়াও সিদ্দিক মোল্লার বাড়ি হতে বিল্লাল পাটোয়ারীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা কয়েক বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে কাজ করা হয়। কাজ এখনো বাকি আছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পড়ে আছে। স্থানীয় মসজিদের সভাপতি সিরাজ মাস্টার বলেন, একটু বৃষ্টি হলে মুসল্লিদের আসতে খুব কষ্ট হয়। কাদা মাটিতে পড়ে যেতে হয়।
সাংবাদিক রাজু আহমেদ বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং এর কাজ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি হলে মানুষ পায়ে হেঁটে যেতেও পারে না। কোন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। এমনকি এ রাস্তার কথা শুনলে কোন রিক্সা অটো আসতে চায় না। অনেকে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীর স্কুল ছাত্র-ছাত্রী কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা আসলেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মাহিন্দ্র চালক মনির খান জানান, বর্ষা হলে কাদা মাটির ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়। গাড়ি নিয়ে আমরা বাড়িতে আসতে পারি না। পড়ে যায় গর্তের মধ্যে।
অটো চালক লিটন খান, জানান, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেরও নাভিশ্বাস ওঠে যায়।
ইউপি সদস্য ইলিয়াস পাটোয়ারী চলাচলে মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে রাস্তাটি দ্রুত কাজের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, গুরুত্ব সহকারে খুব দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু করব। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক বলেন, আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। তারপরও সরজমিনে গিয়ে দেখে দ্রুত রাস্তার কাজ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।