
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা কাজী জিহাদের খামার থেকে বছরে ২ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। খামারটি থেকে সারাদেশের ৫ শতাধিক খামারে উন্নত জাতের জারা ঘাসের বীজ কার্টিং প্রদান করা হচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তা কাজী জিহাদ কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী কাজীপাড়া গ্রামের কাজী ইকরাম হোসেনের পুত্র।
জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনার কারনে সারাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের মতো কাজী জিহাদ ও বেকার হয়ে ঘরে বসে। এসময় স্ত্রী শামিমা আহমেদের উৎসাহে সে নিজ বাড়ীতে ৩ টি দেশী জাতের গরু কিনে ছোট খামার গড়ে তোলে। পাশাপাশি বাড়ীর পাশেই শুরু করে ঘাস চাষ। শুরুতে তার কোন মুলধন ছিলো না। স্ত্রী শামিমার ছিলো দেনমোহরের ৮২ হাজার টাকা। এ টাকাই ধার দেন তরুন উদ্যোক্তা জিহাদকে। এদিয়ে শুরু হয় স্বপ্নের যাত্রা।
২য় বছরই লাভের মুখ দেখে জাহিদ। তার খামারে গরুর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন হয়। পাশাপাশি জমে ওঠে অনল্ইানে উন্নত জাতের জারা ঘাসের বীজ কার্টিং ব্যবসা। দিন দিন এ ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। জিহাদ জানায়, প্রতিবছর অনলাইনে তার খামারের জারা ঘাসের বীজ কার্টিং ৫ শতাধিক খামারী সংগ্রহ করে। বর্তমানে তার খামারে দুগ্ধ প্রদানকারী গাভীর সংখ্যা ১২ টি।খামারের বর্জ্যগুলোও কাজে লাগায় জাহিদ। সে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের সহযোগীতায় খামারের বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করছে।
উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম রতন জানান, জিহাদের খামারটি আমরা দেখেছি। আমরা নিয়মিত তার খোজ রাখি। সে সফল উদ্যোক্তা।