রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার তেনাপচা গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল শাজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখল, এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে বারবার অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ করা, ইউএনও কর্তৃক স্থাপিত সীমানা পিলার উপড়ে ফেলাসহ জমির মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিকার চেয়ে গত পুলিশ হেড কোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হেড কোয়ার্টার এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মহাখালি ট্রাফিক জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগ দায়েরকারী ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম, শরিফা বেগম ও বর্ণা বেগম জানান, তাদের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে প্রবাসী রয়েছেন। ইতিপূর্বে সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী কনস্টেবল শাজাহান মোল্লা আমাদের মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক টয়লেটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এমনকি জমির গাছপালাও কেটে ফেলেন। গত মার্চ মাসে তিনি লোকজন নিয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করলে আমরা পুলিশের সহায়তায় কাজ বন্ধ করি। একইসাথে গত ২৪ মার্চ গোয়ালন্দ উপজেলার এসিল্যান্ড বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসিল্যান্ড বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এসে তিনি আবারো অবৈধভাবে নির্মাণ শুরু করেন। তখন আমরা আর্মি ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সহায়তায় আবারো কাজ বন্ধ করাই। এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা করলে আমরা রাজবাড়ী সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেই। অভিযোগ পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। একইদিন বিকালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান সেখানে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করেন। পরবর্তীতে ইউএনও নিজেই গত ১৯/০৬/২০২৫ ইং তারিখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু কিছুদিন পর কনস্টেবল শাজাহান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা সেই পিলার তুলে ফেলেন।
এ সকল বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল শাজাহান মুঠোফোনে জানান, আমার জমির সঠিক মাপ বুঝে পাইনি। তবে আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক নয়। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার সরকারি চাকরি ক্ষতি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।